
“বাংলাদেশ ইয়ুথ এন্টারপ্রাইজ কম্পিটিশন ১.০”

Bangladesh Youth Enterprise Competition 1.0 বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর একটি উদ্যোগ। বাংলাদেশ ইয়ুথ এন্টারপ্রাইজ অ্যাডভাইস এ্যান্ড হেল্পসেন্টার (B’Yeah) আয়োজিত এ প্রতিযোগীতায় উদ্যোক্তারা কোনো একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবসায়িক আইডিয়া প্রদান করবে এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করবে।
BYEC 1.0 এর লক্ষ্য হলো তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা এবং তাদের উদ্যোগের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করা। একই সাথে উদ্যোগগুলোকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goals) অর্জনের লক্ষ্যে কাজে লাগানো।
প্রতিযোগিতাটির প্রথম কয়েকটি ধাপ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে যেখানে প্রতিযোগীরা ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় দেশের যে কোনো জায়গা থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ফাইনাল রাউন্ড এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরষ্কারপ্রাপ্তরা সশরীরে উপস্থিত থাকবেন।

রেজিস্ট্রেশন ফর্ম
Partners (পার্টনারস)












বি’ইয়া (B’Yeah) সম্পর্কে বিস্তারিত
বাংলাদেশ ইয়ুথ এন্টারপ্রাইজ অ্যাডভাইস অ্যান্ড হেল্প-সেন্টার (বি’ইয়া) একটি যুব উদ্যোক্তা-ভিত্তিক অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংস্থা যা ব্যবসায়িক উদ্যোগ তৈরির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে বেকারত্ব হ্রাস করার লক্ষ্যে কাজ করে। B’Yeah যুক্তরাজ্যের একটি অঙ্গসংগঠন “ইউথ বিজনেস ইন্টারন্যাশনাল (YBI)” এর একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক সদস্য। ২০০৭ সালে বি’ইয়া তার যাত্রা শুরু করে এবং প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে তরুণদের (১৮-৩৫) ব্যবসা চালুকরণ, সম্প্রসারন এবং টেকসই করতে সহায়তা করে যাচ্ছে। বি’ইয়া এখন পর্যন্ত ১২+ কার্যকর অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে, ৬+ উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং ১৫০০+ CMSME’র সাথে সহযোগিতা করেছে।

আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
বি’ইয়া এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন জনাব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী ১৯৬৪ সালে ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মর্ডান হিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক (প্রথম শ্রেণী) ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৮০-৮১ সালে একজন ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে University of Tennessee, Knoxville, USA তে পড়াশোনা করেন। সিভিল সার্ভিসে ৩৩ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনের পর তিনি বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রী পদমর্যাদার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাত বছর ব্র্যাক-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে টাইগার ট্যুরস লিমিটেড, ফেডারেশন অফ এনজিওস ইন বাংলাদেশ (এফএনবি), এবং এসএমই (SME) ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। জনাব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী শুধু জনসাধারণের কল্যাণে ও উন্নয়ন খাতেই অবদান রাখেননি, একই সাথে তিনি Mobil যমুনা, এসিআই, ইন্স্যুরেন্সের মতো অনেক বিখ্যাত কোম্পানিতেও সমান অবদান রেখেছেন। পাবলিক-প্রাইভেট-ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে পাবলিক পলিসি প্রণয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর পঞ্চাশ বছরেরও বেশি বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে। অভিজ্ঞতার এই বিস্তৃত পরিসরে তাঁকে দেশব্যাপী এক অনন্য ব্যক্তি করে তুলেছে।

ব্যারিস্টার মঞ্জুর হাসান OBE
চেয়ারপার্সন
বি’ইয়া-এর বর্তমান চেয়ারপারসন, ব্যারিস্টার মঞ্জুর হাসান, একজন পাবলিক পলিসি রিফর্ম বিশেষজ্ঞ, যার প্রায় দুই দশকের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ব্যারিস্টার মঞ্জুর হাসান একজন আইনজীবী এবং একই সাথে অর্থনীতিবিদ, যিনি The Honourable Society of Lincoln’s Inn and the London School of Economics & Political Science, London, England থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
জনাব হাসান বর্তমানে সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৫ সালে বিআইজিডি (প্রাক্তনঃ ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স স্টাডিজ) প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং ২০০৬ সালে তিনি তৎকালীন আইজিএস-এর পরিচালক ছিলেন। এর আগে তিনি বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও ব্র্যাক-এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বার্লিন, জার্মানির আঞ্চলিক পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন প্রচারের জন্য ২০০৩ সালে ব্রিটের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ মিঃ মঞ্জুর হাসানকে Officer of the Most Excellent Order of the British Empire (OBE) পুরষ্কার প্রদান করেন।