মনিরের মিডিয়া বাক্স
সিনেমা দেখে নায়কের অনেক পেশার মধ্যে সাংবাদিক পেশাকে খুব ভাল লাগতো। সেই থেকে সাংবাদিক হওয়ার সুপ্ত একটা ইচ্ছা ভিতরে ছিল মো: মনির হোসেনের (**বয়স )।
পড়ালেখা শেষ করে চাকরীর জন্য না ছুটে ব্যবসা শুরু করি। ব্যবসাটাও তেমন ভাল লাগেনি। অনেক আগের সুপ্ত ইচ্ছাটাকে জাগ্রত করে একটি অনলাইন পত্রিকা চালু করি।
মিডিয়া জগতে টিকে থাকার জন্য প্রচুর লড়াই করতে হয়, আমাকেও করতে হয়েছে। ২০১৩ সালে শুরুর দিকে কোন মূলধন নেই, অফিস ভাড়ার জন্য টাকা নেই, তবুও ইচ্ছার শক্তিতে আমি জয়ী হই। পরিচিত কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় গড়ে তুলি এই প্রতিষ্ঠান। ইচ্ছা ছিল সাংবাদিক হবো, পত্রিকায় খবর বের হবে, সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহ গুলা মানুষের সামনে তুলে ধরবো, কিন্ত নিজেই হয়ে গেলাম পত্রিকার সম্পাদক।
বর্তমানে পত্রিকায় দুই শিফটে বার জন পূর্ণ দিবস এবং চল্লিশজন খন্ডকালীন কর্মচারী কাজ করছে আর আমার বর্তমান মূলধন ১৮ লক্ষ টাকা। এই কর্মজজ্ঞে রয়েছে নানান চ্যালেঞ্জ। শত বাধাঁকে পেরিয়ে বি’ইয়া থেকে সেরা তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পুরষ্কার পেয়েছি। পেয়েছি বি’ইয়ার আয়োজিত মেলায় সেরা স্টল পুরষ্কার। আর এই প্রেরণাগুলোই আমাকে জুগিয়েওেছ আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস। সুনির্দিস্ট পর্থ নির্দেশনা না থাকলে মানুষকে ঘুরপাক খেতে হয়, মনিরের বেলাতেও তাই ঘটেছিলো। কিন্তু তিনি তা সামলে নিতে পেরেছেন নিয়েছেন বি’ইয়ার প্রশিক্ষণ পাওয়ার কারণে।
ব্যবসায়িক সফলতার পেছনে কিছু মানুষের বা কিছু প্রতিষ্ঠানের অবদান থাকে, বাংলাদেশ ইয়ূথ এন্টারপ্রাইজ অ্যাডভাইস এন্ড হেল্পসেন্টার (বি’ইয়া)আমার ব্যবসাটাকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য সুপরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান করেছে এজন্য আমি বি’ইয়াকে ধন্যবাদ জানাই।
আমি নায়কের মতই ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দেখি একটি উপগ্রহ টেলিভিশনের। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় উপগ্রহ টেলিভিশনটি মানুষের কল্যাণে কাজ করবে এবং সৃষ্টি হবে প্রচুর কর্মসংস্থানের।