সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তার নাম মাইনুদ্দিন
মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া মো: মাইনুদ্দিন এখন লেদার টেন্ড নাম প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ মাইনুদ্দিন। তিনি ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চামড়াজাত পণ্য -এ স্নাতক শেষ করেছেন। শৈশব থেকেই তিনি চাকরি না করে নিজের ব্যবসা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। তাই, বাড্ডায় তাঁর বাসার নিকটে ৫০০ বর্গফুট জায়গা ভাড়া নিয়ে একটি ছোট কারখানা শুরু করেছিলেন ২০১৬ সালে।
শুরুর এক বছর পরে, জায়গাটির মালিক জায়গাটি ফিরিয়ে নেন। অন্য জায়গা না পাওয়ার কারণে এটি তাঁর জন্য কিছুটা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। অল্প ভাড়ায় ঢাকা শহরে বাণিজ্যিক জায়গা পাওয়া খুব কঠিন। এদিকে তাঁর বাবা তাকে চাকরির জন্য চাপ দিচ্ছিলেন, কিন্তু তাতে তার মন সায় দিচ্ছিলনা। শুধু নিজের জন্য নয় বরং অন্যের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করার ক্ষমতা তার আছে বলে তিনি মনে করেন।
সেই সময়ে তিনি বি’ইয়ার সন্ধান পান, যেখান থেকে উদ্যোক্তাদের হবার প্রয়োজনীয় সকল সহযোগীতা পান। বি’ইয়ার প্রকল্পের আওতায় ব্যবসা ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ, মার্কেটিং ও যোগাযোগের প্রশিক্ষণ, ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়ন সহ এবং আর্থিক প্রাতিষ্ঠানিক সাথে পরিচিতি লাভ করেন মাইনুউদ্দিন। তিনি বলছেন, “আমি ব্যবসা করছিলাম, তবে এই প্রশিক্ষণের পরে আমি একজন উদ্যোক্তার মতো ভাবতে শুরু করি”। শুধু তাই নয় মাইনুদ্দিনের আত্মবিশ্বাস আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। তিনি বি’ইয়ার আয়োজনে তিন দিনের পণ্য মেলায় অংশ নিয়েছিলেন ফেব্রুয়ারী ২০১৮-এ।
বি’ইয়া সহযোগীতা পাবার পর, তিনি ঢাকা শহরের বসুন্ধরায় ৭০০ বর্গফুট -এর একটি বানিজ্যিক জায়গা ভাড়া নিয়েছিলেন যা আগের তুলনায় অনেক অভিজাত। এখন শোরুম এবং একটি ছোট কারখানা মিলে চার জন কর্মচারী কাজ করছেন। এই কাজের মাধ্যমে শ্রমিকরা তাদের প্রয়োজনীয় জীবিকা নির্বাহের জন্য অর্থ উপার্জন করছে। সম্প্রতি তারা মহিলাদের জন্য একটি জিম উদ্বোধন করেছেন। বর্তমানে তার নীট মুনাফা হচ্ছে ২০০০০-৪০০০০ টাকা প্রতি মাসে গড়ে।
মাইনুদ্দিন আরও উন্নত হয়েছে। তিনি নতুন নতুন ব্যবসায়ের কৌশল শিখেছেন। মাইনুদ্দিন এখন তার ব্যবসায়াকে আরও বড় করার পথে এগিয়ে চলেছে, এভাবে তিনি অন্য অনেক যুব উদ্যোক্তাকে অনুপ্রেরণা যোগান যারা একদিন আমাদের দেশের পরিবর্তন নিয়ে আসবে।