এসবি গিফট শপ এক শৈল্পিক পণ্যের নাম
কাগজ আর কাঠের দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরণের উপহার সামগ্রী তৈরি করে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে মো: সজিব( ২৮), এসবি গিফঠ শপের কর্ণধার। ঢাকার মোগাম্মদপুরে এসবি গিফট শপের ছোট্ট কারখানায় ৩ জন কর্মী সর্বদা ব্যস্ত থাকে বিভিন্ন গিফটের অর্ডার তৈরি ও সরবরাহ করার কাজে। প্রতিটি কাগজের ভাঁজে আর নকশায় সজিব ফুটিয়ে তোলে আনন্দের রং।
মো: সজিবের গ্রামের বাড়ি —জেলার গ্রামে। জীবিকার তাগিদে ২০১৩ সালে ঢাকায় আসা পর চাকরিতে যুক্ত হওয়া। প্রতিদিন ৯ থেকে ৫ টা পর্যন্ত অফিস করে কেটে গেছে প্রায় ৫টি বছর। ছোট বেলা থেকেই ছিলো রং আর তুলির প্রতি ঝোঁক। অফিসের পর বাসায় এসে সেই রং আর তুলি নিয়ে কাগজে বিভিন্ন নকশা করা। তার এই প্রতিভার কথা কাছের মানুষরা জানতো। মাঝে মাঝে বন্ধুদের আব্দার মেটাতে হতো বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বানিয়ে। তখন থেকেই ভাবনায় এলো, চাকরির পাশাপাশি এই শখকেই তো আর একটি পেশা হিসেবে নেয়া যায়। ২০১৬ সালে সেই ভাবনা থেকেই ফেইসবুকে এসবি গিফট শপ নামে একটি পেইজ খোলা। তখন সবে মাত্র অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়টি বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। তারপরও বেশ কিছু অর্ডার পেতে থাকে সজিব, কিন্তু চাকরি করার পর যে সময় থাকে তাতে পণ্যের অর্ডার সময় মত সরবরাহ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। সজিব সিদ্ধান্তই নিয়েছিলো যে, সে পুরোপুরি চাকরিতেই মনোযোগি হবে।
একটি দিনের স্মৃতিচারণ করে সজিব বলে, ২০১৭ সালের ** (তারিখ) মার্চ তারিখটি তার মনে থাকবে আজীবন। সেদিন আমি বি’ইয়ার একটি ওয়ার্কশপে গিয়েছিলাম। ঐ দিনের আলোচনায় শুনে আমি মনস্থির করেছি, আমি উদ্যোক্তা হবো, চাকরি ছাড়বো। তারপর বি’ইয়ার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি, নিজেই ব্যভসা পরিকল্পনা তৈরি করে পুরোদমে এসবি গিফঠ শপকেই দাঁড় করার জন্য শ্রম, সাধনা করছি। সেই সিদ্ধান্ত আমার সঠিক হয়েছে। আজ আমি এসবি গিফট শপের নামেই পরিচিত, পরিচিত একজন উদ্যোক্তা হিসেবে। আমার একমাসের আয় রোজগার সেই চাকরির চার মাসের সমান। আমি উতেদ্যাক্তা হিসেবে পরিচয় দিতে পেরে আনন্দিত, গর্বিত।’
মো: সজিবের এসবি গিফট শপের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট হলেও নিজের একটি কারখানা রয়েছে, সেখানে ৩ জন স্থায়ী কর্মী কাজ করেছে। ২০১৮ সালের জীবনে প্রথম বি’ইয়া’র মেলায় নিজের বিভিন্ন পণ্য যেমন, কার্ড, কাঠে বিভিন্ন নকশার ছবি, পেপারে চকলেট উপহার প্রর্ভতি পণ্যের প্রদর্শনী করে করেছে দারুণ খুশি সজিব। বর্তমানে তার ৪ লক্ষ টাকার পুঁজি। দেশ টেলিভিশনে দুবার কাগজের পণ্যে তৈরির দূরশিখনে ক্লাস নিয়েছে, প্রাকটিক্যাল এ্যাকশনসহ বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস তার নিয়মিত ক্লায়েন্ট। অনলাইনের মাধ্যমে এসবি গিফট শপের পণ্য সাড়া দেশের মানুষ পাচ্ছে সহজেই। যে কোন সমস্যায় তাতে পথ দেখায় তার মেন্টর।
মো: সজিব বলে, নিজের সৃষ্টির মত আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। বি’ইয়া আমাকে সে আনন্দ উপভোগ করার পথ দেখিয়েছে। আমার একজন মেন্টর আছেন যিনি আমাকে আমার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। আছে আমার মতই কিছু তরুণ উধ্যোক্তা। তাদের দেখেও আমি উৎসাহিত হই আরো বড় কিছু করার।
এসবি গিফট শপ অনেক বড় হবে, তার পণ্য দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে বিক্রি হবে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছে মো: সজিব।