মেন্টরের সহায়তায় অনামিকার মশার কয়েল আজ প্রতিষ্ঠিত
মশার কয়েল উৎপাদনকারী অনামিকা (২৩) ব্যবসা শুরু করেন ২০১৩ সালে। এখন অনামিকা একজন সফল উদ্যোক্তা। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে তিনি বি’ইয়া পরিবারের সাথে যুক্ত হয়েছেন। বি’ইয়া থেকে তিনি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, এছাড়া বিভিন্ন মেন্টরদের নিকট থেকেও ব্যবসায়িক নানা ধরণের পরামর্শ পাচ্ছেন, ব্যবসায়িক ঋণ পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। বছরের শুরুতে কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ সমস্যায় পড়েন, সমস্যা সমাধানে তিনি তার মেন্টর নুসরাত খানের সাথে সাক্ষাত করেন, নুসরাত খান বাংলাদেশ হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষক ও পরিচালক। সব শুনে মিসেস নুসরাত খান অনামিকাকে কারখানাটি অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন যেখানে এই সুবিধা গুলো আছে। কেননা এই সুবিধা গুলো সরকারী সুযোগ ছাড়া সম্ভব নয়, অনামিকা মেন্টর এর পরামর্শ অনুযায়ী নিজ বাড়ির কাছে কারখানাটি স্থানান্তর করেন, কারখানাটি স্থানান্তরের কারণে বড় ধরণের আর্থিক সংকটে পড়েন, সংকট মেকাবেলার জন্য আবারও তিনি মেন্টরের সাথে যোগাযোগ করেন। অনামিকার বিষয়টি মেন্টর বি’ইয়া’র সাথে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেন।
পরবর্তীতে অনামিকা বি’ইয়া সহযোগিতায় এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে ঋণ গ্রহন করার জন্য যোগাযোগ করেন। কিন্ত ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরণের জটিলতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ঋণ প্রদাকারী ব্যাংক গুলোর শর্তসাপেক্ষে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন সে গুলো অনামিকার ছিল না যেমন- ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স, ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র, বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র ইত্যাদি জরুরী কাগজপত্র। ফলে অনামিকা হতাশ হয়ে পড়েন, মেন্টর তাকে বি’ইয়া’র সহযোগিতায় একটি লিগাল ডকুমেন্টেশন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করে সমস্ত কাগজপত্র ঠিক করে এসএমই ফাউন্ডেশনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এবার সে সফল হয়। এসএমই ফাউন্ডেশন তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করে।
বর্তমানে তার কারখানাটি পূনরায় চালু হয়েছে যেখানে ৫০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছে। তার উৎপাদিত কয়েল দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। অনামিকা একজন নারী উদ্যোক্তা। তিনি গর্বিত ও অনুপ্রানিত কারণ তিনি ছোট একটি মশার কয়েল কোম্পানীর মালিক।