উদ্যোক্তা হতে আসলে কী লাগে ? টাকা, আর কি ?

“ব্যাবসা করতে টাকা লাগে।” 

“টাকা নাই, ব্যাবসার চিন্তা করে লাভ নাই।” 

“আমরা যদি ব্যাংক লোন পেতাম তাহলে ব্যাবসা করতে পারতাম।” 

– আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন সব সংলাপ প্রচুর শোনা যায়। 

উদ্যোক্তা হতে আসলে কী লাগে – এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকায়; ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই ব্যাবসা থেকে দূরে সরে থাকে কারণ তার কাছে টাকা নেই। সত্যি কথা বলতে টাকা নেই এক কারণে যারা ব্যবসার  উদ্যোগ নেয় না, ব্যাবসা আসলে তাদের জন্য না।

আপনি যদি কোন উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে প্রশ্ন করেন, ব্যাবসা শুরু করতে কি লাগবে? শুরুতেই বড় মূলধন রেডি করে তবেই ব্যবসায় নামতে হবে এমন পরামর্শ আপনাকে তারা কখনই দেবেন না। বরং যদি বর্তমান সময়ের অনুকরণীয় উদ্যোক্তাদের ইন্টারভিউ ফলো করেন বা তাদের ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার গল্প শোনেন দেখবেন তাদের উত্তরে উঠে আসবে, ব্যাবসা করতে সর্বপ্রথম লাগে –

১) সাহস  এবং

২) ধৈর্য

Byeah.com- উদ্যোক্তা হতে আসলে কী লাগে(1)

উদ্যোক্তা হতে সাহস লাগে কারণ আপনি এমন এক পথে হাঁটছেন যে পথে আপনি আগে হাঁটেননি। এখানে আপনার কোনো অভিভাবক নেই। মাথার ওপর মাস গেলে বেতনের ছাতা নেই। বেতন দেওয়ার কেউ নেই – আপনাকেই আপনার আয় করে নিতে হবে। 

এই অনিশ্চয়তা মোকাবেলা সবাই করতে পারে না। 

যারা পারে তারা সাহসী। তারাই উদ্যোক্তা হতে পারেন। 

যখন আপনার উদ্যোগ নিয়ে অগ্রসর হবেন, তখন আপনার সামনে প্রেরণা জোগানো লোকের বিপরীতে নিরুৎসাহীদের পাল্লা থাকবে ভারী। প্রশংসার বদলে সমালোচনাই শুনতে হবে বেশি। 

বলতে শুনবেন –

এত ঝুঁকি নিয়ে এসব করার দরকার কী? এসব তোমাকে দিয়ে হবে না। 

কী সব পাগলামি শুরু করছো? এসব ছেড়ে একটা ভাল চাকরি যোগাড় করো।

আর তাদের উদ্দেশ্য করে ভারতীয় বিশিষ্ট শিল্পপতি আজিম প্রেমজি বলেছেন – 

“যদি আপনার লক্ষ্য নিয়ে কেউ হাসি তামাশা না করে, তবে বুঝতে হবে লক্ষ্যটি খুব ছোট”।

তাই আপনি যদি সত্যিই সফল ব্যবসায়ী হবার দৃঢ় সংকল্প করেন তবে যারা সাহসের অভাবে নিজে ব্যবসায়ী হতে পারেন নি, যারা ঘুরে দাঁড়াতে না পেরে উদ্যোক্তা হবার ক্যারিয়ারে ব্যর্থ, তাদের কটুকথা উপেক্ষা করে সাহসিকতার সাথে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আপনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আগাতে হবে।

দ্যোক্তা-হতে-আসলে-কী-লাগে

উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক স্টিভ জবস বলেছেন – 

“অন্যের ব্যক্ত ধারণা দিয়ে আপনার নিজের অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনাকে নিমজ্জিত করবেন না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল অন্তর্দৃষ্টি অনুসরণ এবং সাহসের মানসিকতা থাকা”।

বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের শতকথা উপেক্ষা করে তো আগালেন কিন্তু আশানুরূপ লাভের মুখ দেখছেন না। কিংবা লস গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন। আর হতাশ হয়ে ভাবছেন আমার হইত এত বড় রিস্ক নেওয়া ঠিক হয়নি। তবে শুনুন –

ধৈর্য হল ব্যবসায় সফলতার অন্যতম প্রধান নিয়ামক। লাভ – লস ব্যবসার অংশ। রাতারাতি কখনও লাভের মুখ দেখা যায় না। কাঙ্ক্ষিত লাভ এবং সফলতা আসতে অনেক ধৈর্যের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। যতবার হোঁচট খাবেন ততবার উঠে দাঁড়াতে হবে, যে ভুলের কারণে লস গুনেছেন সেসব ভুল শুধরে আবারও নতুন করে হাঁটতে হবে। কারণ আপনি তো পরাজিত মানুষগুলোর নিষেধ উপেক্ষা  করে জেনে শুনেই উদ্যোক্তা হবার যুদ্ধে নেমেছেন।

ব্যাবসা করলেই অনেক টাকা উপার্জন করা যায় এমনটা একদম না ভেবে ধৈর্যের সাথে ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিয়ে আগাতে থাকুন দেখবেন ফলাফল আসবেই। ধৈর্য আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। অধিক পরিশ্রম ও কাজের গতিকে তরান্বিত করবে। সুযোগ গ্রহণের ক্ষেত্র তৈরি হবে।

এতক্ষণ বললাম একজন ব্যবসায়ী হবার প্রাথমিক যোগ্যতা নিয়ে।

তাহলে ধরে নিচ্ছি আপনি একজন সাহসী এবং ধৈর্যশীল মানুষ। অর্থাৎ ব্যবসায়ী হবার প্রাথমিক গুণ আপনার মাঝে আছে। 

এখন আসি ব্যাবসা সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য কীভাবে পদক্ষেপ নিবেন?

প্রথমত, আপনার নিয়ত ঠিক করুন।

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, ‘সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের ওপর, মানুষ যা নিয়ত করবে সে অনুযায়ী ফল পাবে’। – [বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭]

এই যে ব্যাবসা করা – কেন? 

টাকার জন্য? 

নাম বা খ্যাতির জন্য? 

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য? 

শুন্য থেকে কোনো কিছু সৃষ্টির জন্য? 

এই প্রশ্নের উত্তর ঠিক থাকলে আপনি যখনই কোনো ঝামেলাতে থমকে যাবেন তখন এই প্রশ্নের উত্তর মনে করলে আবার পথ চলার সাহস পাবেন। 

কেন আপনি ব্যাবসা করবেন, এটাকেই বর্তমান ব্যবসার পরিভাষায় বলে Vision বা Mission. 

ভিশন বা মিশন আপনার ব্যবসার দর্শনকে প্রকাশ করবে। এটা জানা থাকলে আশাহত মানুষের কথায় সাহস হারাবেন না। লাইনচ্যুত হবেন না লক্ষ্যের সমান্তরাল থেকে। কাজে থাকবে উদ্যম। আপনার টিমের সবাইকেও উদ্যম যোগাবে এই মিশন বা ভিশনে বলা স্বপ্ন। 
দ্বিতীয়ত, মিশন ও ভিশন ঠিক করার পরে ব্যবসার লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। ব্যবসাতে লক্ষ্য বা গোল (Goal) কেন জরুরি?

ধরুন আপনার কাছে টাকা আছে। আপনি কমলাপুর স্টেশনে আছেন। কিন্তু আপনি জানেন না আপনি কোথায় যাবেন। ফলে আপনি কখনই টিকেট কিনতে পারবেন না কারণ টিকেট কেনার সময় আপনি কোথায় যাবেন সে কথাটি বলতেই হবে। 

টাকা থাকলে সেটা দিয়ে রাজশাহী যাওয়া যায়, সিলেটে যাওয়া যায়, খুলনা কিংবা চট্টগ্রাম সহ যাওয়া যায় সবখানেই।

কিন্তু গোল ঠিক না থাকলে কোথাও যাওয়া যাবে না – বসে থাকতে হবে স্টেশনেই।  

তাই প্রত্যেকটা উদ্যোক্তাকে জানতে হবে তার ব্যবসাটাকে সে কোথায় নিয়ে যেতে চায়। আর এইজন্য Goal হতে হবে SMART। 

SMART – 

  • Specific (সুনির্দিষ্ট) 
  • Measurable (পরিমাপযোগ্য) 
  • Ambitious (উচ্চাকাঙ্ক্ষী)
  • Realistic (বাস্তবসম্মত) 
  • Time Bound (সময় নির্ধারিত) 

Specific (সুনির্দিষ্ট): 

ব্যবসায় আপনাকে বা আপনার ব্র্যান্ডকে কোন অবস্থানে নিতে চান তা সুনির্দিষ্ট করে ঠিক করতে হবে। যেমন আপনি বললেন আমি একজন বড় ব্যবসায়ী হতে চাই। এটা সুনির্দিষ্ট হল না। একেবারে নির্দিষ্ট করে বলতে হবে আমি একজন গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার হতে চাই, টি শার্ট নিয়ে কাজ করতে চাই ইত্যাদি। আজকে এক প্রোডাক্ট তো কাল অন্য প্রোডাক্ট এভাবে দ্রুত বিজনেস সুইচ করা যাবে না। 

পণ্য বা সেবা নির্বাচনে অধিক গুরুত্ব দিন। আপনি যে পণ্য সম্বন্ধে ভাল জানেন সেই পণ্য নিয়ে কাজ করলে ব্যবসায় ভাল করবেন। অন্যকে কোন ব্যবসায় লাভবান হতে দেখে আপনিও সেই ব্যবসায় হুট করে নেমে পরবেন না। মনে রাখবেন কোন ব্যাবসা খারাপ না, ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে আপনি কোন ব্যবসা তে ভাল করবেন।

ব্যাবসা নির্বাচনে ঐতিহ্যের গুরুত্ব অনেক। অনেক অনেক ব্যবসা বা শিল্প বংশপরম্পরায় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। আপনার পরিবারে যদি ব্যবসার ঐতিহ্য থাকে অর্থাৎ আপনার বাবা, চাচার ব্যবসায় অনুপ্রাণিত হয়ে আপনার পণ্য বা ব্যবসা নির্বাচন করতে পারেন। 

ধরুন আপনার বাবার একটি টেইলরিং শপ আছে। আপনি ছোট থেকেই তার এই কাজ কাছ থেকে দেখে আসছেন। এই ব্যাবসা সম্বন্ধে আপনি নিশ্চয় অনেক ভাল জানবেন। এক্ষেত্রে আপনি এই ব্যবসা নিয়ে আগাতে পারেন। আপনার বাবার করা শপটিকে আপনার ব্যবসায়িক কৌশলে ধাপে ধাপে টপটেন এর মত একটি টেইলরিং ব্র্যান্ডে রুপান্তরের পরিকল্পনা করতে পারেন।

Measurable (পরিমাপযোগ্য) : 

আপনার ব্যবসাকে আনুমানিক পরিমাপে নয়, মাপকাঠি দিয়ে মেপে ব্যবসার সঠিক পরিধিকে নির্ণয় করতে হবে। যেমন অনেক টাকা আয় করতে চাই – এটা না বলে বলতে হবে – মাসে কত টাকার বিজনেস ট্রানজিকশন হবে সেটা লক্ষ্য নির্ধারিত হতে হবে। কত টাকার সেলস – এটাও লক্ষ্য হতে পারে। টেক স্টার্টাপের ক্ষেত্রে কত টাকার চেয়ে কতজন কাস্টমার – এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে অনেক সময়। 

কত টাকা নিট লাভ হলো – সেটাও লক্ষ্য হতে পারে। 

কিন্তু সব লক্ষ্যকেই সুনির্দিষ্ট পরিমাপে মাপতে হবে – এবং দেখতে হবে আপনি সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছেন কিনা। 

Ambitious (উচ্চাকাঙ্ক্ষী) : 

আপনার লক্ষ্য যেন সাদামাটা কিছু না হয়। এতে উদ্যোগের উন্নতি করার, ব্যাবসা বড় করার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। সফল হবার পিপাসা থাকবে হবে। যা আপনার পদক্ষেপে স্পিরিট আনবে। একজন উদ্যোক্তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেই উচ্চাকাংখা। পাহাড়ের চূড়াকে লক্ষ্য করে ছোড়া তীর হয়তো পাহাড়ের মাঝ বরাবর যাবে, হয়তোবা পাহাড়ের গোড়াতে আঘাত করবে। কিন্তু পাহাড়ের পাদদেশকে লক্ষ্য করলে সেই তীর পাহাড় পর্যন্ত পৌঁছবে না। 

উচ্চাকাংখা শুধু নিজের থাকলে হবে না, উদ্যোক্তার সহযোগীদেরও থাকতে হবে। 

আপনার ব্যবসার সফলতার মূল পরিপূরক আপনার ক্রেতা বা কাষ্টমার। ক্রেতা যতক্ষণ আপনার সেবা বা পণ্যে সন্তুষ্টি না পাবে ততক্ষণ আপনার ব্যবসাতে টেকসই উন্নয়ন হবে না। তাই ক্রেতা সন্তুষ্টি তৈরিতে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতের পাশাপাশি সার্ভিসে গুরুত্ব দিন।

আর গুণগত মান এবং সার্ভিস নিশ্চিত করতে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। দক্ষ ও দ্বায়িত্ববান জনবল নিয়ে পরিচালনা করুন আপনার ব্যাবসা। তাদের লক্ষ্য বেঁধে দিতে হবে এবং উচ্চাকাংখার বীজটা বুনে দিতে হবে। সাথে প্রতিনিয়ত তাদের মনিটর করতে হবে যে ঐ লক্ষ্যে তারা প্রতিদিন কি কি কাজ করছে। 

সুন্দর ফ্রেন্ডলি কর্মপরিবেশ ও কর্মী সন্তুষ্টির জন্য সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করলে আপনার কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে উদ্যোগটাকে সফল করার জন্য নিরলস শ্রম দিয়ে যাবে। 

Realistic (বাস্তবসম্মত)  : 

উচ্চাকাংখা ভালো কিন্তু লোভ ভালো নয়। উচ্চাকাঙ্ক্ষার সীমা অতিক্রম করে বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে যাবেন না। যেমন আপনি প্রথম বছরে ৩ লক্ষ টাকা লাভ করেছেন, পরবর্তী বছর টার্গেট করতে পারেন ৫ বা ১০ লক্ষ টাকা লাভ তুলবেন। কিন্তু এই লাভ দেখে যদি চিন্তা করলেন আমি তো পেরেছি এবার আরও অনেক বিনিয়োগ করে ৫০ লক্ষ টাকা লাভ বের করব, এমন অবাস্তব এবং অদূরদর্শিতার পথে হাঁটবেন না। 

বাস্তবতার সাথে সম্পর্ক রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে হিসাব ঠিক মতো রাখা। 

কেনা-বেচা, দেনা-পাওনার, ইনভেনটরির বিস্তারিত লেজার মেইনটেইন করুন। এতে ব্যবসায় লাভ-লসের সঠিক ধারণা থাকবে। কোন খাতে কেমন খরচ হচ্ছে তা জানলে আপনার সঠিক বাজেট তৈরিতে সুবিধা হবে। সম্ভব হলে অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার যেমন ব্যাপারী ব্যবহার করুন। ফিন্যান্সিয়াল স্টেটম্যান্ট বিশ্লেষণ করে ব্যবসার সঠিক অগ্রগতি পরিমাপ করুন। 

Time Bound (সময় নির্ধারিত) : 

প্রতিটি টাস্ক, মিশন কমপ্লিটের জন্য অবশ্যই একটি নির্ধারিত সময় বেধে নিন। এতে টার্গেট ঠিক থাকবে। যেকোনো চ্যালেঞ্জিং ওয়ার্ক এর জন্য প্রতিটি সেকেন্ড অনেক মূল্যবান। একটি ডেডলাইন মিস করার কারণে সামগ্রিক কাজের সিস্টেমে ব্যাঘাত আসতে পারে।

ধরুন আপনার একটি আইটি ফার্ম আছে। নির্দিষ্ট দিনে কাস্টমারকে তার একটি ওয়েবসাইট বুঝিয়ে দিতে হবে। সে হিসেবেই আপনাকে পেমেন্ট করেছেন। কাজটি সম্পন্ন করতে অবশ্যই বিভিন্ন টিমের সমন্বয় প্রয়োজন। অথচ কাজের প্ল্যানিং এবং ডেডলাইন না রাখার কারণে ডিজাইন টিম নির্ধারিত সময়ে কন্টেন্ট পায় নি, আবার ওয়েব ডেভেলপার হইত সময়মত সবরকম ইন্সট্রাকশন পায় নি। যেহেতু এক সেকশনকে আরেক সেকশনের কাজের জন্য অপেক্ষমান থাকতে হয়েছে সেহেতু অর্ডারটি নির্ধারিত দিনে ডেলিভারি করেত পারলেন না। এতে কাস্টমারের মধ্যে তৈরি হতে পারে আপনার ব্যবসার প্রতি অত্যন্ত নেতিবাচক উপলব্ধি। তাই নির্ধারিত ডেডলাইনের মধ্যেই কাজ শেষ করার মনোভাব থাকতে হবে পুরো টিমের মধ্যে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে কী শুধু সাহস আর ধৈর্য নিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়বেন? আদৌ কী ব্যবসায় টাকার দরকার নেই? এমন সস্তা মোটিভেশনের কথা বলতে চাই না।

ব্যাবসা করতে অবশ্যই কিছু টাকা তো লাগবেই কিন্তু এখানে মূল বিষয় হল আপনার ব্যবসা চিন্তা যেন ক্যাপিটাল বা মূলধন কেন্দ্রিক না হয়। টাকা থাকলেই ব্যবসায় আপনি সফল হতে পারবেন না কিন্তু যদি আপনার ব্যবসা করার সক্ষমতা থাকে তাহলে আপনি ব্যবসার অন্যান্য জিনিসের মতো টাকাটাও ম্যানেজ করতে পারবেন।

তাই যদি আপনার উদ্যোক্তা হবার প্রচন্ড ইচ্ছা থাকে, সৎসাহস থাকে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে টিকে থাকার ধৈর্য থাকে তাহলে আপনার বিজনেস আইডিয়াটা নিয়ে মাঠে নেমে পড়ুন – দেখবেন টাকার মালিক আপনাকে টাকা যোগাড় করে দেবেন। 

#byeah